মিসবাহ সামাদ,(সিলেট):
গ্যাস সিলিন্ডার বর্তমানে বাংলাদেশে বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি জ্বালানির নাম গত কয়েক বছরে এর ব্যাবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।শহর থেকে গ্রামে সকল পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলোতেও এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর শহরের ফুতপাতের দোকানগুলোও বাকি নেই সবাই সমান তালে এগুচ্ছে এ যেনো
"তোরা যে যা বলিস ভাই আমার গ্যাস সিলিন্ডার চাই"
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি এসকল গ্যাস সিলিন্ডার কতটুটু নিরাপদ বর্তমান সময়ে যত ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে এইতো গত কয়েকদিন আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়।
বর্তমানে বেশিরভাগ অগিকান্ডই হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে।
আর হবেই না কেনো এসকল গ্যাস সিলিন্ডারগুলোর বেশিরভাগেরই মেয়াদ নেই কিংবা সরকারিভাবেও তেমন তদারকি করা হয় না।এমনকি আমাদের দেশের মুদির দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় হয় অথচ এসকল গ্যাস সিলিন্ডারগুলো ফিলিং স্টেশনের বিক্রি করার কথা উন্নত বিশ্বের সকল দেশেই ফিলিং ষ্টেশন এসকল সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির অনুমোদন পেয়ে থাকে।
এই তো কয়েকদিন আগে দেখলাম ট্রাক থেকে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডারগুলো ছুড়ে ফেলতেছে নিচে যেনো এগুলো প্লাষ্টিকের বোতল, তাহলে গ্যাস লিকেজ হবে না কেনো? এসকল কারনেই একেকটি গ্যাস সিলিন্ডার একেকটি এটম বোমায় পরিনত হচ্ছে এবং অকালে ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রানগুলো । একটি পরিবারের স্বপ্নগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্য মেয়াদউত্তীর্ণ একটি গ্যাস সিলিন্ডারগুলোই যথেষ্ট। তাই সকলকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবহার ও বিপণনে আরেকটু সাবধান হতে হবে।
গ্যাস-সিলিন্ডার বিপণন ও সরবরাহের উপর একটি নীতিমালা ও পৃথক সরবরাহ কেন্দ্রের উপর গুরুত্বারোপের জন্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার জন্য ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফিচার: গ্যাস সিলিন্ডার নাকি এটম বোমা।
Reviewed by সম্পাদক
on
শুক্রবার, মার্চ ১৫, ২০১৯
Rating:
