মুহাম্মাদ শরিফুজ্জামান,(রাজশাহী):
১৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী মহাসমারোহে আমরা বসন্তকে বরণ করে নিলাম। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কালজয়ী গানসহ অন্যান্য বিখ্যাত বাঙালী শিল্পীদের গান গাওয়া হয়েছিল দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাকে আমরা ইতোমধ্যে বরণ করেছি, সে কি এখনো এসেছে? বসন্তের চিরায়ত সেই রূপ আমার চোখে পড়েনি। আপনাদের কি তা চোখে পড়েছে? কোকিলের কণ্ঠে গান, নতুন মুকুলের মনমাতানো গন্ধ, ঝিরঝির বৃষ্টি আর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া কোনোটাই আমার চোখে পড়েনি। চোখে পড়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টিপাত, মেঘের গর্জন আর কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা। আবহাওয়ার যেই আলামতগুলো আসার কথা আরো দুই মাস পরে, সেগুলো এখনি দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি বসন্ত আসার আগেই গ্রীষ্ম চলে এসেছে? কবে আসবে বসন্ত?
বাড়িঘর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রপাতি চালিয়ে দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। এসব যন্ত্রের জন্য কার্বন ডাই -অক্সাইডসহ বিষাক্ত সব গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে, কিন্তু সেদিকে আমাদের খেয়াল নেই। নেই কোনো হিসেব। আমরা বড্ড বেহিসাবি। আমরা বড্ড দানশীল বটে। কলকারখানা ও ইট ভাটায় উৎপন্ন বিষাক্ত ধোয়া প্রকৃতিকে দান করে দিচ্ছি। পরম বন্ধুকে শত্রু ভেবে উজাড় করছি বনাঞ্চল। বসন্ত তো লুকিয়ে থাকে এই প্রকৃতির মাঝেই। সেই প্রকৃতিকেই আমরা সমূলে ধ্বংস করছি। ঋতুরাজ বসন্ত বড্ড শান্তিপ্রিয়, মানবসৃষ্ট এই ঝুট-ঝামেলা সে একেবারেই পছন্দ করে না। হয়তো, সেইজন্যেই বসন্ত এখনো আমাদের মাঝে আসেনি। অভিমানে, অনুরাগে হারিয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে। আমরা একটু সচেতন হলেই বসন্ত স্বরূপে ফিরে আসবে আমাদের মাঝে।
ছবি- সংগৃহীত
ফিচার: বসন্ত হারিয়ে গেছে!
Reviewed by সম্পাদক
on
মঙ্গলবার, মার্চ ১২, ২০১৯
Rating:
