মো:আব্দুল্লাহ,(বগুড়া):
দেশে গড়ার আগামীর কারিগর হলো আমাদের
দেশের শিশু-কিশোররা। তারা আমাদের সপ্ন,তারা আগামীর উজ্বল ভাবিষ্যৎ। তাদের জন্য প্রয়োজন সুস্থ সুন্দর পরিবেশ যাতে তারা সুস্থ স্বাভাবিক ও সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে ও দেশের জন্য উজ্বল নক্ষত্রে পরিনত হতে পারে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট: বর্তমানে তাদের জন্য নেই মান সম্মত সুন্দর পরিবেশ যা তাদের সুস্থ,সুন্দর বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে শিশু কিশোর দের জন্য নেই যথেষ্ট খেলার মাঠ ফলে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে তাদের জন্য মানসম্মত শিশু পার্ক নেই ফলে তাদের বিনদোন ও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাদের মনে পরছে নেতিবাচক বিনোদন হীন প্রভাব। বর্তমানে যে সকল শিশু পার্ক রয়েছে সে সকল পার্কের অবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর ও আতঙ্ক যুক্ত। পার্ক গুলো পরির্ণত হয়েছে মন্দ কিছু লোকদের আড্ডা খানায়। যার ফলে দিনে দিনে শিশু পার্ক গুলো আড্ডা খানায় পরিনত হচ্ছে, ফলে শিশু-কিশোরদের বিনোদন এর স্থান প্রায় শূন্য হয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য আজ আর নেই আতঙ্কহীন বিনোদন মূলক সুষ্ঠ পরিবেশ। তারা অনেক সময় অবসাদগ্রস্ত তায় ভোগে তাদের এই অবসাধগ্রস্ত তা থেকে বেরিয়ে আনতে হবে ও তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে সঠিক-ভুল ও সুন্দর পথের দিক নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। তাদের জন্য সুস্থ সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে আমাদের, যাতে তারা পায় সুস্থ স্বাভাবিক আতঙ্কহীন সুন্দর পরিবেশ।
ভয়াবহ কিছু সত্য: আজ কাল প্রায় ই দেখা যায় কিছু নির্দয় মানুষ শিশু-কিশোরদের দ্বারা বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয় যেমন: বিভিন্ন গ্যারেজ,কারখানা ইত্যাদিতে কাজ করিয়ে নেয় যা শিশু শ্রম এর অন্তগত যা কখনই সঠিক নয়। এছাড়া তাদের ভয় দেখিয়ে নানা অনৈতিক কাজ যেমন:ছিনতাই,চুরি,ভাঙ্গচুর ইত্যাদি করানো হয়। সকলকে এসব বিষয় এ সতর্ক হতে হবে ও তাদের ঐ সকল মন্দ পরিবেশ থেকে আমাদের সরিয়ে আনতে হবে ও তাদের জন্য সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে হবে।
শিশু-কিশোরদের জন্য কেমন পরিবেশ চাই: শিশু-কিশোররাই আমাদের সকলের সপ্ন ও আগামীর ভবিষ্যৎ, তাই আমাদের উচিত তাদের মানসম্মত সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়া। ফলে তারা সুস্থ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সক্ষম হবে। আমাদের উচিত তাদের জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি বিনোদন মূলক স্থান নির্মান করা। তাদের খেলা-ধুলার জন্য মানসম্মত পর্যাপ্ত মাঠ তৈরি করা যাতে তারা খেলা-ধুলার মাধ্যমে তাদের মন কে প্রফুল্ল করতে পারে ও শারীরিক ভাবেও তারা সুস্থ সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ মাঠ গড়ে তুলতে হবে তাদের বিনোদন ও খেলা ধুলার জন্য। পাড়া মহল্লাতে ও মাঠ নির্মান করতে হবে যাতে শিশুরদের খেলা-ধুলা ও বিনোদন এর কোন সমস্যা না হয়। তাদের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত সুন্দর পার্ক তৈরি করতে হবে। এবং পার্ক গুলোকে মন্দ লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে যাতে শিশুরা আতঙ্ক মুক্ত ভাবে পরিপূর্ন বিনোদন লাভ করতে পারে । এবং তাদের শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যম ও করতে হবে সুন্দর, কঠোরতা পরিহার করে ভালোবাসা ও বিনোদন এর মাধ্যমে তাদের পাঠ দান করাতে হবে। অভিবাকদের উচিত শিশু কিশোরদের পরাশুনার পশাপাশি বিনোদন এর ব্যাবস্থা করা। তারা যাতে পাঠ্যপুস্তক ঙ্গান অর্জনের পাশাপাশি বাস্তব অথ্যাৎ আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে উঠতে পারে সেই জন্য তাদের বাস্তব ঙ্গান ও ভালো সানুষ হয়ে গড়ে উঠার জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য আমাদের সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। শিশু শ্রম ও শিশুদের দ্বারা সংগঠিত অনৈতিক কাজ বন্ধে সম্মেলিত ভাবে কাজ করতে হবে ও সকল শিশুদের সুস্থ- সুন্দর আতঙ্ক মুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে হবে।
তবেই তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে সক্ষম হবে।
ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোরদের জন্য মানসম্মত পার্ক, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিনোদন এর ব্যাবস্থা করা ও সকল শিশুদের সুরক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সরকারী -বেসরকারী মহল কে এগিয়ে আসতে হবে।
তবেই শিশু-কিশোররা উজ্বল নক্ষত্রে পরিণত হবে ও দেশের জন্য মানব সম্পদ রূপে গড়ে উঠতে সক্ষম হবে।
ছবি: সংগৃহীত।
ফিচার: শিশুর বিকাশে নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন।
Reviewed by সম্পাদক
on
মঙ্গলবার, জানুয়ারী ০৮, ২০১৯
Rating:
