জেবা সামিহা,(রংপুর):
লিখবো। লেখার জন্যে একটা নিরিবিলি জায়গা লাগতো। কোথায় পাবো সে যায়গা? পার্ক বা মাঠ হলে ভালো হতো।
কিন্তু মন মতো পার্ক বা মাঠ কোথাও পাবো? আছে ত। আমার এই ছোট্ট শহরে ৭-৮ টা পার্ক আছে। কিন্তু তাতে এত মানুষ যে নির্জনতা আমি হারিয়ে ফেলি। আসলে যান্ত্রিকতার এই যুগে মানুষ হয়ে উঠছে বিনোদনের কাঙ্গাল। আর মানুষ অনুপাতে পার্ক কম। পার্ক করার জায়গাটাই বা কই? সব ত কেমন যেনো সংকীর্ণ হয়ে আসছে।
যদিও বা কয়েকটা পার্ক আছে সেখানে আর একা বসে লেখার জো নেই। কারন সেখানে শুধু দেখা যায় ছেলে আর মেয়ে জোড়া। নতুবা পার্কে একা থাকার পরিবেশ টাই নেই।
এবার আসি মাঠের কথায়। প্রতিটা এলাকায় যে মাঠ থাকবে সেটা খুব কম। যদিও বা কয়েকটা মাঠ আছে তাও মুষ্টিমেয় কয়েকজনের খেলার জন্যে। তাহলে??? সত্য এটাই যে যন্ত্রের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা যান্ত্রিক হচ্ছি। কাজ করছি, টাকা উপার্জন করছি, যায়গা পেলে বাড়ি করছি। কিন্তু এগুলার পরেও যে কিছু হচ্ছে সেদিকে আর খেয়ালি রাখছিনা।
অবশ্য যদি মাঠ থাকতো তাহলে সেই মাঠে কয়জনই বা খেলতে যেতে পারতো। শহরের বাচ্চাগুলোর পড়াশোনা প্রতিযোগিতার জন্যে ছুটতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট, কোচিং এ। এত কিছুর পর আর সময় কই মাঠে গিয়ে মনমতো খেলার।
আচ্ছা যদি এমন হতো প্রতিটা এলাকার মানুষ বাড়ি করার আগেই একটা পরিকল্পনা করবে। নির্দিষ্ট একটা যায়গায় কেউ বাড়ি করবে না। সেটা হবে ঐ এলাকার খেলার মাঠ। আমার কাছে ত মন্দ লাগে না। মাঠের যে অভাবটা আমরা বোধ করি সেটা কিছুটা হলেও ঘুচবে ত।
শুধু শিশু-কিশোদের খেলার জন্যে কেনো বড়দের আড্ডা বা বয়স্কদের সময় কাটানোর জন্যে হলেও একটা মাঠ ত আবশ্যক।
অনেকেই অনেক ধরনের প্রতিবেদন করছে। অনেক কিছু মিডিয়াতে আসছে। মাঠ সংকীর্ণতার জন্যে। কিন্তু উদ্যোগ কতজন নিচ্ছে? কাজ কতজন করছে? অনেক বড়দের ও বলতে শুনি খেলার মাঠ কোথায়? কোথায় আর বাচ্চারা খেলবে? তাহলে উদ্যোগ টা আপনি আগে নেন। বিশ্বাস করুন এই বিষয়ে আইন তৈরি হলেও সমস্যার সমাধান হবে না যতদিন না নিজেরাই সচেতন হয়ে উদ্যোগ নেই।
প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে চাই পার্ক বা খোলা মাঠ।
Reviewed by সম্পাদক
on
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
Rating:
