মো.আবদুল্লাহ,(বগুড়া):
বিনোদন অর্থাৎ খেলাধুলা হলো শিশুকিশোরদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। প্রত্যেক শিশু-কিশোরদের জীবনেই বিনোদন অর্থাৎ খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম।খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুকিশোরদের মন প্রফুল্ল হয়,তারা খেলাধুলার মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারে,নানা জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়।যা তাদের জীবনে চলার পথে অনেক সহযোগিতা প্রদান করবে।এর ফলে তাদের জীবন সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠবে ও তাদের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশ হবে যা আমাদের সকলেরই কাম্য।
খেলা-ধুলার উপকারিতা: খেলা-ধুলা শিশু কিশোরদের নানা বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলে। শিশুদেরকে পরাজয় কে মেনে নেয়ার শিক্ষা দেয় যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এর ফলে শিশুরা পরাজয় কে কিভাবে হাঁসিমুখে জয় করতে হয় তার শিক্ষা লাভ করে ও পরাজয় থেকে জয় এর শিক্ষা লাভ করার অনন্য জ্ঞান অর্জন করে।এবং সকলের সাথে একত্রে কাজ করার শিক্ষা ও লাভ করে যা তাদের জীবনের চলার পথকে করবে সহজ ও সুন্দর। এই শিক্ষা ছাড়া জীবনে উন্নতি লাভ সম্ভব নয়।এছাড়া খেলা-ধুলা এক ধরনের ব্যায়াম যার ফলে শরীর সুস্থ সবল থাকে ও রোগ সংক্রামন ও কম হয় এছাড়া শিশু-কিশোরদের মন ও খেলা-ধুলার মাধ্যমে অনেক উদার হয় ও মানসিক ভাবেও শিশুকিশোরদের মনের বিকাশ ঘটে।
খেলা-ধুলা বা বিনোদন না থাকার প্রভাব:খেলা-ধুলা বা বিনোদোন এর সুযোগ যদি সঠিকভাবে শিশুকিশোরদের দেয়া না হয় তবে তাদের নানা নেতিবাচক প্রভাব পরবে।তাদের শরীরে নানা রোগ আক্রমন করবে, তাদের শরীর সুস্থ সবল ও প্রফুল্ল থাকবেনা,তাদের মনেও এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পারবে।তারা পরাজয়কে জয় করার শিক্ষা লাভ হতে বঞ্চিত হবে, তারা পরাজয় হতে জয় এর শিক্ষা লাভ করতে পারবেনা ফলে তাদের জীবনে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যা কখনই আমাদের কাম্য নয়।এর ফলে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশ বাধা গ্রস্থ হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট : খেলা-ধুলা শিশু-কিশোরদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয় হওয়া সর্থেও বর্তমানে শিশুকিশোর দের তেমন বিনোদন এর ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া হয়না, তাদের খেলা-ধুলা বা বিনোদন বিষয়টাকে তেমন জরুরী মনে করা হয়না।তাদের অনেক সময় খেলাধুলা হতে বিরত রাখা হয়।ফলে তাদের মনে মনে নেতিবাচক প্রভাব পরে ও তারা বিষন্বতায় ভোগে।তাদের মানসিক বিকাশ ও বাধা গ্রস্থ হয়।তারা নানা বাহ্যিক ঙ্গান সম্পর্কে অঙ্গাত হতে পারেনা। তারা সামাজিক মাধ্যমে বেশি আসক্ত হয়ে পরে ও গেমর্স কাটুর্ন ইত্যাদিতে আসক্ত হয়ে পরে।
তাই পড়া শুনার পাশাপাশি খেলা-ধুলাও শিশু-কিশোরদের জন্য অতন্ত গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা।অবিভাবকও শিক্ষরা বর্তমানে পড়ালেখার মাধ্যমকেই শুধু গুরুত্ব আরোপ করেন, তারা শিশুকিশোরদের তেমন খেলা-ধুলা বা বিনোদোনেরর ক্ষেত্র তৈরি করে দেননা তারা বিনোদোন বা খেলা-ধুলাকে তুচ্ছ ও হেলার চোখে দেখেন। খেলা-ধুলাকে তারা সঠিক মনে করেন না যা কখনই উচিত নয়। এর ফলে শিশু-কিশোরদের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
আমাদের করণীয় : আমাদের সকলের উচিত শিশুর সুস্থ ও সুন্দর বিকাশের জন্য তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা-ধুলার সুযোগ প্রদান করা, তাদের খেলাধুলার মাধ্যমে নানাক্ষেত্রে পরাজয় কে মেনে নেয়ার শিক্ষা প্রদান করতে হবে যাতে শিশু-কিশোররা পরাজয়কে জয় করার শিক্ষা লাভ করতে পারে এবং পরাজয় হতে জয় এর শিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হবে এছাড়া শিশু-কিশোররা খেলাধুলার মাধ্যমে কিভাবে সকলে মিলে একত্রে কাজ করতে হয় তা জানতে পারবে যা তাদের জীবনের চলার পথকে সহজ ও সুন্দর করবে। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মাঠ তৈরি করা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ন ও তাদের খেলা-ধুলার জন্য নিদিষ্ট একটি সময় নির্বাচন করে তাদের মেধা বিকাশের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি যদি বিনোদনের সুযোগ করে দেয়া হয় তবে তারা নানা বিদ্যায় পারদর্শী হতে সক্ষম হবে ও সুস্থ-সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠবে যা আমাদের সকলের কাম্য। তাই প্রত্যেক অভিবাবক ও শিক্ষদের উচিত শিশু- কিশোরদের প্রয়োজনীয় বিনোদন ও খেলা ধুলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
খেলা-ধুলা ও বিনোদন শিশু-কিশোরদের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশে অপরিহার্য্য।
Reviewed by সম্পাদক
on
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
Rating:
