গল্প: জানাজা।
লেখা: শাহানুর ইসলাম রুদ্র,(মাগুরা)।
সাদ রাতের বেলা হাঁটা হাঁটি করতে খুব পছন্দ করে,তার ছোট বেলা থেকেই অনেক সাহস। যাই হোক আর কথা না বাড়াই ঘটনায় চলে আসি।
প্রতিদিন এর মত সাদ সেদিন ও স্কুল এর মাঠে বসে ছিল,সাথে তার বন্ধু সায়ান ও ছিল। রাত প্রায় ১২ টা বাজে,তখন সায়ানের ফোনে কল আসে, তার বাবা তাকে এখনই বাড়িতে যেতে বলে। সায়ান বাড়িতে চলে গেলেও সাদ তখন ও মাঠে বসে ফেসবুকিং করছিল। তখন চাঁদনী রাত থাকায় আসে পাশের সব দেখা যাচ্ছিল। (বলে রাখা ভালো আমাদের স্কুল এর পাশেই ছিল কবরস্থান)।
বেশকিছুক্ষণ পর সাদ খেয়াল করল কিছু লোক কবরস্থান এর দিকে যাচ্ছে। সাদ কোনো কিছু না মনে করে আবার ফোন চালাতে লাগলো। তারপর খেয়াল করলো আরো কিছু লোক মাঠের দিকে আসছে কাধে লাশের খাট। সাদ তখন কিছুটা ভাবলো,এত রাতে কেও কেন লাশ কবর দিবে আর কেই বা মারা গেল জানলাম নাতো?
হুজুর তো মাইক দিয়ে ঘোষণা ও করলো না!!এই কথা ভাবতে ভাবতে অই লোকগুলোর মধ্যে একজন লোক সাদের সামনে এসে খুব সুন্দর করে সালাম দেয়। সাদ সালামের উত্তর নেয়। সাদ খেয়াল করলো লোকটার চোখে কাজল বা সুরমা টাইপের কিছু লাগানো,সুন্দর একটা ঘ্রাণ ও পাচ্ছিলেন। লোকটা সাদকে বললো আমাদের সাথে জানাজায় সামিল হবেন চলুন। সাদ তখন ও অন্য রকম কিছু মনে করল না। সাদ স্কুল এর টিউবওয়েল এ অজু করে জানাযার নামাজ পড়ার জন্য দাড়াল,তখন সাদ খেয়াল করল তার আশে পাশে দাড়িয়ে থাকা লোক গুলোর চেহারা একই রকম। সাদ তখন ভয় পায়,আর অই লোক গুলো বলে তাকে লাশ এর মুখ টা দেখতে। সাদ সাহস করেই লাশ এর মুখ টা দেখতে রাজি হয়। কিন্তু সাদ কাফন সরিয়ে যা দেখলো তা দেখার জন্য সে একদম প্রস্তুত ছিল না। সাদ দেখলো লাশ অন্য কারো নয় তার নিজের লাশ!! সাদ তখন নিজেকে আর সামলাতে পারছিল না,দোয়া পড়া শুরু করে দৌড়াতে থাকে,আর থেকে চিৎকার শুনতে থাকে কে যেন পেছন থেকে বলছে অজু করা ছিলি বলে বেঁচে গেলি না হলে তোর শেষ দিন ছিল আজ। সাদ বাড়ির উঠানে এসে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারায়। বাড়ির সবাই তার কন্ঠ শুনে বের হয়ে দেখে সাদ মাটিতে পড়ে আছে। তার কিছুদিন পর সাদ যখন সুস্থ হয় তখন সেই ঘটনা বাড়ির সবাই কে বলে। কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে চায় নি। তবে শেষে এলাকার মসজিদের হুজুর ঘটনা শুনে বলে আর বলে ওই লোক গুলো খারাপ জীন ছিল।হজুর সাদকে তাবিজ করে দেয়,আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতে বলে।
গল্প: জানাজা।
Reviewed by সম্পাদক
on
শনিবার, মে ২৩, ২০২০
Rating:
