-->

কবিতা- 'বাবা' ।



'বাবা'।আমাদের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আস্থাভাজন, সবচেয়ে প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্ব ।আমাদের একটু সুখের জন্য কত কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করেন তিনি। সেই বাবা কে নিয়ে কবিতা লিখেছে আমাদের রংপুরের বন্ধু ," জেবা সামিহা"।

কবিতা- বাবা
লেখা: জেবা সামিহা 

আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি, 
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 
বাবা ব্যয়ের ধাক্কা সামলাচ্ছে,
নিকোটিনকে সাথে নিয়ে। 
বাবার হৃদয়টা আজ ভালো নেই বলে, 
একমাত্র উপার্জনের উপাধিটা আর পারছে না নিতে।
পরিশ্রম আর নিকোটিনের ধোঁয়ার সাথে বাবা আর পেরে উঠতে পারেনা।
হয়তো সেকারনেই দিন শেষে সে মায়ের সাথে ভালো ব্যবহারটুকুও করতে পারে না। 
বাবা চেয়ে আছে শুধু আমার দিকে,
আর চেয়ে চেয়ে সহ্য করছে চুপচাপে
তার নিজের ঘাম ঝরানো পরিশ্রম। 
কিন্তু আমি তো- 
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 
আমি আর মা চাইতে পারিনা
বাবার রক্ত, মাংসের শরীরের দিকে
কিভাবে যেনো শরীরটা ক্ষয়ে যাচ্ছে। 
বাবা কি জানে -? 
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 

আমি বাবার হাতে উপর,
ঘাম শরীরে দিয়ে ভর,
চেষ্টা করছি দাড়ানোর।
আমি বুঝতে পারি -
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 

আমার দম বন্ধ হয়ে আসে,
বাবার কাছে খাতা, কলম চাইতে।
আমি বারবার যাই থমকে,
বাবার কাছে খুব প্রয়োজনীয় জিনিস চাইতে। 
কারন,
আমি আর মা চাইতে পারিনা
বাবার রক্ত, মাংসের শরীরের দিকে
কিভাবে যেনো শরীরটা ক্ষয়ে যাচ্ছে। 
বাবা কি জানে
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 

আমি বাবার হাতে উপর,
ঘাম শরীরে দিয়ে ভর,
চেষ্টা করছি দাড়ানোর।
আমি বুঝতে পারি,
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে। 

আমি আজ হাজারো ত্যাগ স্বীকার করি হাসিমুখে,
শুধু আমার বাবার দিকে চেয়ে। 
আমি আজ লাখো দামী স্বপ্ন আকাশে উড়িয়ে দেই, 
শুধু বাবার কথা ভেবে। 
আমি রোজ মিথ্যা বলে মান বাচাই,
বাবার কথা মনে করে। 
শিশু বয়সে যেই বাবার ভুড়ি ছিলো খেলার সারঞ্জাম,
আজ সেই বাবার শরীরে ভেসে ওঠা হাড় গুনি আমার চোখের জলের সাথে। 
কারন,
আমি ধীরেধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যবিত্ত বাবার শরীরে।
কবিতা- 'বাবা' । কবিতা- 'বাবা' । Reviewed by সম্পাদক on শনিবার, জানুয়ারী ২৬, ২০১৯ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.