-->

ফিচার: মুক্তি চাই।



মো:আব্দুল্লাহ,(বগুড়া):
বর্তমান সসময়ের শিশু-কিশোররা চায় মুক্তি, চায় একটু শান্তির প্রস্বাস,চায় বেড়াজালের বাহিরে গিয়ে কিছু করতে কিন্তু তারা নিরুপায়।তারা আজ বন্দি।  আজকের সমাজ হয়তো হয়েছে অনেক উন্নত। অনেক আধুনিক তবে শিশু-কিশোররা তো আটকে আছে আজও ইট পাথরের চারদেয়ালের মাঝে।শিশু-কিশোরদের জীবনটা অনেকটা বন্দিকারাবাসের জীবনের মতো হয়ে গেছে।নেই কোনো স্বাধীনতা। অাধুনিকতার মাঝে যে হারিয়ে যাচ্ছে মুক্ত পরিবেশ হয়তো তা আমরা ভুলে যাচ্ছি।
দৈনন্দিন জীবনের ব্যাস্ত রুটিনের মাঝে যেনো শিশু-কিশোররা হয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিক। অনেকটা রোবার্ট এর মতো। তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেলা-ধুলা আনন্দ-বিনোদন। আমারা হয়তো এই বিষয়টাকে ছোট করে দেখি সর্বদা। এবং শুধু পড়াশোনাটাকেই বড় করে দেখি জীবনে। কিন্তু যদি মন মানসিকতার কথা ভাবিনা।যদি মন মানস্বিকতাই ঠিক না থাকে তবে সু-শিক্ষা অর্জন কিভাবে সম্ভব হবে,,,???
যদি তাদের আনন্দ বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরি করে না দেয়া হয় তবে তারা কিভাবে হাঁসি-খুশি ময় মানুষ রূপে গড়ে উঠবে,,,,???
তাদের ও তো ইচ্ছা করে রঙিন ঘুরিম মতো মুক্ত হতে। প্রকৃতির মাঝে একটু সময় কাটাতে।
তারা তো আজ যান্ত্রিকতার মাঝে হারিয়ে গেছে গহীন অন্ধকারে। তারা আজ নিজের আকাকিত্বতা কে কাটাতে নানা গেমর্স,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পরছে। কেউ ববা বেঁছে নিচ্ছে ভান্ত কিছু পথ। ভুলে যাচ্ছে বাস্তব জগৎ কে,ভুলে যাচ্ছে মুক্ত পরিবেশকে,মুক্ত পরিবেশের অনন্য সৌন্দর্য থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। এতে তাদের কোনো দোষ নেই।দোষ আমাদের আমরা আধুনিকতার নামে তাদের থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছি তাদের আনন্দ-হাঁসি আর খেলাধুলাম জগৎ কে। তাই তো তারা আজ নিসঙ্গ,হতাশায় ডুবন্ত। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে হতাশা আর একাকিত্বের জীবন থেকে।মুক্ত করতে হবে চার দেয়াল আর দৈনন্দির রোবর্ট এর মতো রুটিন থেকে। তাদের দিতে হবে কর্মমূখর জীবন থেকে একটু বিরতি।দেখাতে হবে রঙিন আলোর পথ।গড়ে দিতে হবে মুক্ত প্রাঙ্গন, ফিরিয়ে দিতে হবে খেলা-ধুলাময় হাঁসি-খুশির জগৎ। তাহলেই তাদের পরিপূর্ন বিকাশ সম্ভব হবে ও তারা হয়ে উঠবে হাঁসি-খুশি ময় প্রানবন্ত। তারা ফিরে আসবে আবার হাসিঁ খুশি পথে,ফিরে আসবে হতাশার অন্ধকার জগৎ থেকে।

ফিচার: মুক্তি চাই। ফিচার: মুক্তি চাই। Reviewed by সম্পাদক on বৃহস্পতিবার, মার্চ ০৭, ২০১৯ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.